,

আবারো ফুটপাত হকারদের দখলে, চিটাগাংরোডের চাঁদাবাজরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক চিটাগাংরোডের ফুটপাত আবারো হকারদের দখলে। হকারদের থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়কারী চাঁদাবাজরা এখনো ধরা ছোঁযার বাহিরে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হলেও চিটাগাংরোডের চাঁদাবাজদের শেল্টারদাতাদের এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে প্রতিদিন চিটাগাংরোড ফুতপাট হকারদের থেকে সন্ধ্যার সময় চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলছে। ৪ থেকে ৫ শতাধিক দোকান থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শত টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কঠোরতায় চাঁদাবাজদের শেল্টারদাতারা গাঢাকা দিলেও তাদের নিয়োজিত চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন চাঁদা তুলছে। এসব চাঁদাবাজরা ফুটপাতের অসহায় নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে ভাড়া বাবদ চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে তাদের বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করা হয়। রহস্যজনক কারনে থানা পুলিশ এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিচ্ছেনা কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা। কাদের নির্দেশে চিটাগাংরোড থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা উঠানো হচ্ছে পুলিশ তা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও চিটাগাংরোডের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করতে পারেনি পুলিশ। এটা নিয়ে এখন কৌতুহল মানুষের মধ্যে। তবে সাধারন ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার চিটাগাংরোডের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের যোদ্ধ ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। চিটাগাংরোডের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য এসপি হারুন অর-রশিদের প্রতি অনুরোধ করেন সাধারন ব্যবসায়ীরা। উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্য্যালয়ের ডিআই টু পুলিশ ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ রোমন বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে কোন অপরাধীর ঠাঁই নাই। কেউ যদি অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন অপরাধ করলেই ছাড় নেই। চিটাগাংরোডের চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে এবং নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য পুলিশ সুপার স্যারের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জবাসীকে অপরাধ মুক্ত একটি জেলা উপহার দিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *